আগরতলা, ৯ জুলাই : স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে গত ৭ জুলাই সচিবালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা। সভায় প্রবলতর মিশন ইন্দ্রধনুষ-৫.০ কর্মসূচির রাজ্য স্টিয়ারিং কমিটি, টিকাকরণ কর্মসূচির রাজ্য টাস্কফোর্স কমিটি, মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান-৫.০-এর রাজ্য সমন্বয় কমিটি ও জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির রাজ্যস্তরীয় যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির কর্মসূচিগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় জানানো হয় শিশু ও কিশোর কিশোরীর জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির সঠিক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ত্রিপুরা সরকার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব- সুস্থ কৈশোর অভিযানের বিশেষ কর্মসূচির সূচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব-সুস্থ কৈশোর অভিযান- ১, ২০, ৩০, ৪০-এর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রাজ্য সরকার জাতীয় কৃমিনাশক দিবস, আয়রণ ফলিক অ্যাসিড সম্পূরক, ভিটামিন-এ, প্রবলতর ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ পক্ষকাল, পোষন অভিযান, টিটেনাস-ডিপথেরিয়া টিকা, হাম-রুবেলা, কৈশোরকালীন গর্ভাবস্থায় প্রতিরোধ, একিউট ফ্যাসিড প্যারালাইসিস (পোলিও), ডিপিটি বুস্টার ডোজ, টিডি-১০, টিডি-১৬, সামাজিক সচেতনতা এবং নিউমোনিয়া সফলভাবে প্রতিরোধ করা, কৈশোরকালীন বিবাহ এবং কৈশোরকালীন গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি করা, বাড়িতে নবজাত শিশুর যত্ন এবং বাড়িতে ছোট শিশুদের যত্ন, মাতৃদুগ্ধপানের উপর সচেতনতা সৃষ্টি করা ইত্যাদি কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব-সুস্থ কৈশোর অভিযান- ৫.০ এর ব্যানারে রাজ্য জুড়ে পালন করা হবে। ১১-২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাজ্যের সমস্ত জেলার প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং বাড়ি বাড়ি এই অভিযান সংগঠিত করা হবে। ১১-১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাজ্যের প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং ১৬-২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন ঔষুধ খাওয়ানো হবে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মিশন ইন্দ্রধনুষ ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হিসাবে সারা দেশে চালু হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল রুটিন টিকাকরণকে শক্তিশালী করা এবং ২০২২ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ টিকাকরণের হার ৯০%-এ পৌঁছানো। ২০২৩ সালে তিন ধাপে মিশন ইন্দ্ৰধনুষ-৫.০ কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রথম রাউন্ড হবে ৭-১২ আগস্ট, ২০২৩, দ্বিতীয় রাউন্ড হবে ১১-১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, তৃতীয় রাউন্ড হবে ১-১৪ অক্টোবর, ২০২৩। রাজ্যের সমস্ত জেলায় শূন্য থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত যেসব শিশুরা নিয়মিত টিকাকরণের আওতায় টিকা নেয়নি সেইসব শিশুদের টিকা দেওয়া হবে এবং গর্ভবতী মহিলা যারা নির্ধারিত টিকার ডোজ নেননি তাদের টিকা দেওয়া হবে। নিয়মিত টিকাকরণে যেসব শিশু বাদ পড়েছে তার মাথাপিছু গণনা করা হবে। ইউ উইন অ্যাপ পোর্টালে শূণ্য থেকে ৫ বছর বয়সের শিশু এবং গর্ভবর্তী মহিলাদের নাম এবং যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করা হবে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্য থেকে হাম-রুবেলা নির্মূলীকরণের উদ্দেশ্যে মিশন ইন্দ্রধনুষ-৫.০ কর্মসূচি পালন করা হবে। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, অধিকর্তা ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে রাজ্য শাখা থেকে এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।
Bengal Panchayat Election : বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের দিনে খুন ১৩, গুলিবিদ্ধ অন্তত পক্ষে ২৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন