Bengal Panchayat Election : বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের দিনে খুন ১৩, গুলিবিদ্ধ অন্তত পক্ষে ২৪ - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

ব্রহ্মকুন্ড বার্তা  Brahamakundabartaa

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

Bengal Panchayat Election : বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের দিনে খুন ১৩, গুলিবিদ্ধ অন্তত পক্ষে ২৪

Share This

 


কোলকাতা, ৮ জুলাই : পঞ্চায়েত ভোটের দিনে বাংলায় নিহত হলেন ১৩ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি অন্তত ২৪ জন। মুর্শিদাবাদে ২ জন তৃণমূল কর্মী খুন হন। নিহত হয়েছেন ১ জন করে কংগ্রেস এবং সিপিএম কর্মীও।  হিংসায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে নিহত হন ১ তৃণমূল কর্মী। আরেকটি ঘটনায় কোচবিহারের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটেরহাট ৪/৩৮ নম্বর বুথে বিজেপির ১ ভোট এজেন্টকে খুন করা হয়। দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ বিজেপি কর্মীর। এদিনের ভোটকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনার খবর আসে মালদহের মানিকচকষ, ইংরেজবাজার, নদিয়ার চাপড়া, গোয়ালপোখরেও শাসকদলের এক কর্মী নিহত হন, এখানেই মৃত্যু হয়েছে এক কংগ্রেস কর্মীরও। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় নিহত তৃণমূলের এজেন্ট। 

 

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার গুরদলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬১ নম্বর বুথে, ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির সদস্যদের মধ্যে বচসার জেরেই এই ঘটনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলদা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেক্টর অফিসার সহ প্রশাসনিক ব্যক্তিরাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন।


জলপাইগুড়ির নাথুয়া বানিয়াপাড়া চৌরাস্তা হাইস্কুলে ছাপ্পা ভোটের ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সাংবাদিকরা। ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। নাক মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহিলা সাংবাদিকদের সাথে অভব্য আচরণ করা হয়েছে। 


ভোটের দিনে ৩৫৫ ধারা লাগু করার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় সল্টলেকের রাস্তায়। আটক হন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। এখনো পর্যন্ত নির্বাচনকে ইস্যু করে ১৬ জন খুন হয়েছে বলে দাবি। ভোট পরবর্তী হিংসায় আরো অনেকে মারা যাবে বলে আশঙ্কা। আর সেই কারণেই ৩৫৫ ধারা লাগু করার দাবিতে সল্টলেক করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডের সামনে রাস্তায় বিক্ষোভ বিধান নগর বিজেপির তরফ থেকে। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১নম্বর ব্লকের, নিজ নাড়াজোল  গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজাকুন্ডু বুথে, ভোট লুটে বাধা পেয়ে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে পালালো দুষ্কৃতীরা। জানা গেছে, কেশপুর থেকে আসা ঐ বাইক বাহিনী ভোট লুটে বাধা পায়। এরপরই সিপিএমের এক শাখা সম্পাদক জয়দেব পড়িয়ার ঘরবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঐ বাড়ির খড়ের গাদাতে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়।


পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার কাষ্ঠকুড়া এলাকায় ভোট চলাকালীন   বিজেপি  ও  তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুইপক্ষ লাঠি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে পড়ে ব্যালট বাক্স গুলোকে বাইরে বার করে। পরে সেগুলি ভাঙ্গা হয় বলে অভিযোগ।


বিজেপি দলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসা ও সন্ত্রাসের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এই হিংসা বন্ধ করতে চায় না। তাই কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন,ভোটের নামে প্রহসন চলছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকার পরিবর্তে তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, নির্বাচন কমিশন তা অমান্য করেছে। আদালতের অবমাননার বিরুদ্ধে বিজেপি আবারও আদালতের দ্বারস্থ হবে। 


রাজ্যে ভোট ঘোষণা হলেই গণতন্ত্রের হত্যা শুরু হয় বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর অভিযোগ করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন,ভোট হলেই হত্যা,গোলাগুলি,সংঘর্ষ সাধারন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং শাসকদলের নেতারা ভোট জেতার জন্য যেকোনো ধরনের কাজ করতে পারেন। প্রতিটি ভোটে এত হত্যা কেন হয় শ্রী ঠাকুর সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি তিনি রাজ্যে এভাবে গণতন্ত্র হত্যা নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নীরব থাকার বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন।


রাজ্যে আজ পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস হিংসা ও খুনের ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীরবাবু বলেন ভোটের দিন আজ নির্দিষ্ট থাকলেও গতরাত থেকেই বুথ থেকে ব্যালট বাক্স বের করে এনে তৃণমূল কংগ্রেস এর নেতাকর্মীরা ভোট শুরু করে দিয়েছে। মা মাটি মানুষের সরকার মানুষের জন্য এত কাজ এত উন্নতি রাজ্যে করেছে যার জন্য নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের এত খুনের প্রয়োজন হল বলে অধীর বাবু কটাক্ষ করেন ।

  



Tripura Budget : বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ২৭৬৫৪৪০ কোটি টাকার বাজেট পেশ,  রয়েছে ১৩টি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad