জয়ন্ত চক্রবর্তী, ০৮ আগস্ট : নাম দিয়া দাস, তিন বছরের ছোট্ট মেয়ে। অমরপুরে নিজের বাড়িতেই খেলা করছিল। খেলতে গিয়ে হঠাৎ কয়েন মুখে দিয়ে দেয়। অবুঝ শিশু। খেলনার জিনিস ভেবে শিশুজাত প্রবৃত্তি তো তার থাকারই কথা। কিন্তু পূর্ব রাঙামাটি গ্রামে দিয়ার বাড়িতে হঠাৎ চিৎকার। ততক্ষণে কয়েন বা মুদ্রা দিয়ার খাদ্যনালীর দিকে যাচ্ছে। ।সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসা হয় অমরপুর মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকরা গোমতী জেলা হাসপাতালে রেফার করেন।
গোমতী জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক দল সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে ওঠেন। দিয়াকে বাঁচানোর জন্য। শেষে চিকিৎসক ডাঃ প্রদীপ মল্লিকের নেতৃত্বে মেডিক্যাল টিম গঠিত হয়। ডাঃ সুকান্ত সাহা, ডাঃ আক্রাম হুসেন, ডাঃ বাপী দাস , সিস্টার সুমনার চেষ্টায় সোমবার সন্ধ্যেবেলা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দিয়ার খাদ্যনালী থেকে কয়েনটিকে বের করা হয়। ডাঃ প্রদীপ মল্লিক জানান, দিয়া এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। ইতিমধ্যে থাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হয়েছে।
তবে কয়েন বা মুদ্রা, আলপিন, লোহা, ক্লিপ, গয়না, সেফটিপিন, ওষুধ এসব শিশুদের জন্য মারাত্নক হতে পারে। তাই এসব কিছু শিশুদের নাগালের বাইরে রাখার জন্য অভিভাবকদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর থেকে আবেদন জানানো হয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন