বিশালগড়, ৭ সেপ্টেম্বর : প্রাচীনকাল থেকেই ভারতের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে আধ্যাত্মিকতার যোগসূত্র রয়েছে। আধ্যাত্মিকতার সংস্পর্শেই সুন্দর ও সুস্থ চেতনার বিকাশ ঘটে। এই পথই মানব সমাজের মঙ্গলের পথ। বৃহস্পতিবার বিশালগড় মহকুমার গোকুলনগরের উত্তমভক্ত চৌমুহনীতে গুরু গোরক্ষনাথ আশ্রমে দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঈশ্বর প্রতিটি মানুষের মধ্যেই বিরাজমান। মানবসেবার মধ্যদিয়েই ঈশ্বরকে পাওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী। তিনি দেশের প্রতিটি মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মধ্যে একটা পরম্পরাগত ঐতিহ্য রয়েছে। জন্মষ্টমী হিন্দুদের কাছে একটা উল্লেখযোগ্য দিন। আমাদের রাজ্যেও আজ পূজা, অচর্না ও যজ্ঞের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্তদান একটি মহৎ দান। মানবসেবায় রক্তদানের বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রক্তদাতাদের সাথে মতবিনিময় করেন ও তাদের উৎসাহিত করেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন গুরু গোরক্ষনাথ আশ্রমে পুজো দেন এবং রাজ্যবাসীর মঙ্গলকামনায় পূণ্য যজ্ঞে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, টিআইডিসি'র চেয়ারম্যান নবাদল বণিক, টিআরটিসি'র চেয়ারম্যান অভিজিৎ দেব, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশ্রমের সভাপতি মোহন্ত যোগী রথোস নাথ।
পরে মুখ্যমন্ত্রী সোনামুড়ার গরুরবান্দ স্কুলটিলায় পাগলী মাসীর ১৩তম বাৎসরিক উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি গোটা মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন এবং এলাকার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ের মত বিনিময় করেন। উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন