গন্ডাছড়া, ১৫ জুলাই : উত্তেজনাপূর্ণ গন্ডাছড়ায় গিয়ে বিপন্ন জনতার রোষানলে পড়লেন মন্ত্রী টিংকু রায়, প্রাক্তন সংসদ রেবতী ত্রিপুরা, বিধায়ক রামপদ, প্রদেশ বিজেপির সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। জনতার রোষানল থেকে বাঁচতে তারা গন্ডাছড়া মহকুমা শাসকের অফিসে আশ্রয় নিলে, জনরোষ সেখানেও আশ্রে পড়ে। ভাঙচুর করা হয় আমার শাসক অফিস। তবে পুলিশ সংযত ভূমিকা পালন করায় ঘটনা বেশি দূর এগোতে পারেনি।
গণ্ডা ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং স্থানীয় জনতার সঙ্গে কি রকম আলাপ আলোচনা হয়েছে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, গন্ডাতুইসায় হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষোভ-অভিযোগে কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা হয়েছে। রাজ্য সরকার গন্ডাতুইসায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অতি দ্রুত আর্থিক সাহায্য সহ সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে জনজীবনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি আরো বলেন, আজ মহকুমা শাসকের অফিসে প্রশাসনের আধিকারিক, বাজার ব্যবসায়ী, হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনদের একটি প্রতিনিধি দল ও স্থানীয় নাগরিকদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে ও তিনি জানান।
এছাড়াও মন্ত্রের টিংকু রায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনসাধারণের প্রতি ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান রাখেন। রাজ্য সরকার ও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিনিধি দলকে দেখে জনতার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠা এবং মহকুমা শাসক অফিসে ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাইতে গেলে মন্ত্রী টেংকুড়ায় বলেন, এর সবটাই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, তবে তিনি সকলকে বলেন, শান্তি বজায় রাখুন এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে আমাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে, হিংসা কখনও কোনকিছুর সমাধান হতে পারে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন