উদয়পুর, ১৭ সেপ্টেম্বর : স্বচ্ছতার পরিবেশ বজায় রাখতে হলে স্বচ্ছ মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। পরিবেশকে সুন্দর ও স্বাভাবিক রাখার জন্য সাফাই অভিযানের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মঙ্গলবার উদয়পুরে রাজ্যভিত্তিক 'স্বচ্ছতা হি সেবা অভিযান -২০২৪' এর উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন উপলক্ষে গোমতী জেলার উদয়পুর জগন্নাথ দীঘি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগণ সকলে নিজ নিজ এলাকা, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, পর্যটন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলেই বিভিন্ন ধরণের রোগব্যাধি থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীও একই দিশাতে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। যারফলে স্বচ্ছতা আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচারাভিযানের রূপ পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে চলতে থাকা দীর্ঘদিনের অনেক সমস্যাও সমাধান করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই সাধারণ মানুষের চিকিৎসার কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনা চালু করা হয়েছে। রাজ্যেও যারা প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনার অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি তাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনা চালু করা হয়েছে। দেশের বীর সৈনিকদের সম্মানার্থে হর ঘর তিরঙ্গা, মেরি মাটি মেরা দেশ, ৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম ইত্যাদি অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, নিজের এলাকাকে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব সকলের। সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাফাই কর্মীরা শহরকে আবর্জনামুক্ত রাখতে নিরলস কাজ করে চলেছেন। স্বচ্ছতা বজায় থাকলে পরিবেশও সুন্দর ও নির্মল দেখায়।
অনুষ্ঠানে পানীয়জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর এবং নগর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং বলেন, একটা সময় স্বচ্ছতা অভিযান শুধুমাত্র শৌচালয় ব্যবহার ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণ ইত্যাদির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা বলেন, জেলায় বৃক্ষরোপণের উপর প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে। সাফাই মিত্রদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজনও করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলতে থাকা এই স্বচ্ছতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ দীঘির পূর্ব পাড়ে সাফাই অভিযানে অংশ নেন এবং 'এক পেড় মা কে নাম' ভাবনার অঙ্গ হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। মূল অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল ও ত্রিপুরার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা কর্তৃক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত টেপানিয়া আমতলিস্থিত 'আলোর দিশারি' আশ্রমে প্রেরিত সামগ্রী বোঝাই গাড়িটিকে পতাকা নেড়ে সূচনা করেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মাতাবাড়ি ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির দর্শন করেন ও পুজো দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন