আগরতলা, ১৬ সেপ্টেম্বর : ত্রিপুরার সার্বিক উন্নয়নে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে চলছে। ত্রিপুরা সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই এখানে উন্নয়নের অনুকূল পরিবেশ তৈরী হয়েছে। একে বজায় রাখার জন্য ত্রিপুরা সরকারের প্রতি জনগণকে সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দিতে হবে। সোমবার মোহনপুর মহকুমার বড়কাঁঠালে নবনির্মিত সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের উদ্বোধন করে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে একথা বলেন। মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা সহ লোকসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, মহারাজা প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মন্দির উদ্বোধনের পর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ অন্যান্য অতিথিগণ পূজার্চনাও করেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের ভাষণে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সনাতন ধর্ম সকল ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে শেখায়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নিজ ধর্মকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। ত্রিপুরার রাজা মহারাজারাও ধর্ম সুরক্ষার বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তাশীল ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংকল্প ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দেশ আজ উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে। ত্রিপুরায়ও বর্তমানে রাজ্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সৌহাদ্যপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণৎপরিবেশ তৈরী হয়েছে। বিগত দিনে এটা কল্পনা করাও সম্ভব ছিলনা।
অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, বিগত ৩৫ বছরে ত্রিপুরায় নাস্তিকের পরিবেশ তৈরী হয়েছিল। বর্তমান রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যে একটা আস্তিকের পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে আমাদের ভগবানের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে। রাজ্যে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির, চৌদ্দ দেবতা মন্দির, কসবা মন্দির সহ অনেক ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। আগামী দিনে এই সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরটিও একটি ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, শান্তিকালির ঐশ্বরিক আশীর্বাদ ও চিত্তরঞ্জন মহারাজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলেই এই মন্দির স্থাপনা সম্ভব হয়েছে। চিত্তরঞ্জন মহারাজের পরিচালনায় রাজ্যে ২৫টা আশ্রম রয়েছে। যেখানে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী আধ্যাত্মিক বিষয়ে পড়াশুনা করছে। এই আশ্রমগুলি থেকে পড়াশুনা করে বহু শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষাও লাভ করেছে।
অনুষ্ঠানে মহারাজা প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য বলেন, সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হচ্ছে রাজ্যের একটি পরম্পরাগত ঐতিহ্য। ত্রিপুরার রাজা মহারাজাগণও সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সহমন্ত্রী ড. শচীন্দ্রনাথ সিনহা, পদ্মশ্রী শান্তিরঞ্জন মহারাজ এবং মোহন্ত গয়ামনি মহারাজ। সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এছাড়াও পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা সহ বিভিন্ন আশ্রম ও মন্দিরের সাধুসন্তগণ উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন