আগরতলা, ১৯ জানুয়ারি : ককবরক সহ রাজ্যের অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাষার বিকাশ সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। ককবরক ভাষার বিকাশে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দেশের প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষের মাতৃভাষার বিকাশে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১নং প্রেক্ষাগৃহে ৪৭তম ককবরক সাল- ২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা অধিকারের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ককবরক ভাষার বিকাশে ককবরক ভাষী ও অন্যান্য ভাষাভাষীর মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ককবরক ভাষাকে রাজ্যে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার ককবরক ভাষার উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ককবরক ভাষাকে একটি বিশেষ বিষয় হিসেবে চালু করা হয়েছে। রাজ্যের ১, ১৬৩টি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত, ১৩৩টি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত, ১১৫টি বিদ্যালয়ে নবম ও দশম শ্রেণীতে এবং ৬৫টি বিদ্যালয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে ককবরক অন্যতম বিষয় হিসেবে পড়ানো হচ্ছে। ত্রিপুরা (কেন্দ্রীয়) বিশ্ববিদ্যালয়ে ককবরক ভাষায় পিএইচডি ডিগ্রি চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ককবরক ভাষা উন্নয়ন উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া এবং বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার। উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা ও বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা নৃপেন্দ্র চন্দ্র শর্মা। সভাপতিত্ব করেন ককবরক ভাষা উন্নয়ন উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ডা. অতুল দেববর্মা।
অনুষ্ঠানে অতিথিগণ 'খুমপুই' সাহিত্য ম্যাগাজিন ও 'ইয়াকপাই বল-VI' স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন। তাছাড়াও অতিথিগণ ৪টি ককবরক সাহিত্য গ্রন্থের আবরণ উন্মোচণ করেন। ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা দপ্তরের অধিকর্তা আনন্দহরি জমাতিয়া।
৪৭তম ককবরক সাল-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সকালে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পুনরায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এসে সমাপ্ত হয়। র্যালিতে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ, ককবরক ভাষা উন্নয়ন উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ডা. অতুল দেববর্মা ও ভাইস চেয়ারম্যান বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া সহ ছাত্রছাত্রী, শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিকগণ অংশ নেন। পরে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ককবরক শিক্ষক টোনা ত্রিপুরা, আহল্যা রিয়াং, সবিতা দেববর্মা, দীপ্রা কিশোর দেববর্মা, নীতাই আচার্য ও জয়কুমার দেববর্মাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। অতিথিগণ তাদের হাতে ১৫ হাজার টাকার চেক, স্মারক উপহার ও শংসাপত্র তুলে দেন।
Health Care : রাজ্যে প্রথম ইন্ট্রাইউটেরাইন ইনসেমিনেশন পদ্ধতিতে কৃত্রিমভাবে সন্তান প্রসব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন