আগরতলা, ০২ এপ্রিল : রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। রাজ্যে রাবার, আগর, আনারস এবং বাঁশভিত্তিক শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। তাই বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রচারের উপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে। আজ সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে উত্তরপূর্ব ভারতের বিনিয়োগের প্রচারের লক্ষ্যে উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন (ডোনার) মন্ত্রকের উচ্চস্তরীয় টাস্কফোর্সের প্রস্তুতি সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি দপ্তরকে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করতে হবে। রাজ্য সরকার বিনিয়োগকারীদের সুবিধা প্রদানে ল্যান্ড রিফর্মস সহ ইজ অব ডুইং বিজনেসের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে পর্যটনক্ষেত্রে বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের লক্ষ্যে প্রচার ও প্রসারের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসমস্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে তা বিনিয়োগকারীদের নজরে নিয়ে আসতে হবে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিনিয়োগকারী সংস্থার সাথে রাজ্য সরকারের মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিনিয়োগকারী সংস্থার সাথে মৌ স্বাক্ষরিত হলেও তা বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা সহ বিভিন্ন দপ্তরের সচিবগণ রাজ্যে বিনিয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলি তুলে ধরেন। প্রস্তুতি সভায় সুশাসন দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে আগরতলায় অনুষ্ঠিত উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২তম প্লেনারি বৈঠকে এই উচ্চস্তরীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা এই টাস্ক ফোর্সের আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন। এই টাস্ক ফোর্স আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিনিয়োগের প্রচারের লক্ষ্যে একটি রোড ম্যাপ তৈরী করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে জমা দেবে। এই রোড ম্যাপের মধ্যে রয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলির মধ্যে বিনিয়োগের পরিবেশ, পরিকাঠামো মূল্যায়ণ, কৃষি, পর্যটন, লজিসটিক্স, আইটি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির মতো ক্ষেত্রগুলির জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চলকে পছন্দের বিনিয়োগের গন্তব্য স্থাপনের পাশাপাশি পিপিপি মডেলের উপর গুরুত্ব দেওয়া। তাছাড়া এই এলাকায় বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে নীতি সংস্কারের সুপারিশ, সেক্টোরাল গ্রোথ প্ল্যান বাস্তবায়নের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন