আগরতলা, ১৩ মার্চ : ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, পরম্পরা খুবই সমৃদ্ধ। আমাদের মিশ্র সংস্কৃতি শুধু ত্রিপুরা নয়, বিদেশেও সমাদৃত। আমাদের এই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। বুধবার সন্ধ্যায় গান্ধীঘাটস্থিত তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ট্যুরিজম এন্ড কালচার্যাল প্রমোশন হাব-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। ডোনার মন্ত্রকের আর্থিক সহযোগিতায় ১.৬১ একর জমিতে এই হাব গড়ে তোলা হবে। ব্যয় হবে ৩৪.৫৫ কোটি টাকা।
ট্যুরিজম এন্ড কালচার্যাল প্রমোশন হাবের শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, রাজ্যের সর্বত্র পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। শুধু পরিকাঠামোর উন্নয়ন করলেই হবেনা, রাজ্যের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার মান উন্নয়নও করতে হবে। সেই লক্ষ্যেও কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা উৎসবেরই রাজ্য। আমাদের পরম্পরাগত সংস্কৃতির চর্চা আরও বাড়াতে হবে। তার সাথে নতুন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডও যোগ করতে হবে। আমাদের রাজ্যে সব ক্ষেত্রেই প্রতিভার কোন অভাব নেই। তাদের বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।
প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশের নীতি নিয়ে কাজ করছেন। এর সুফলও আমরা দেখতে পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য হীরা মডেল উপহার দিয়েছেন। রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাজে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং দেশের উন্নতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পথ দেখাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আইন শৃঙ্খলা ভাল না থাকলে শান্তি সম্প্রীতির পরিবেশ না থাকলে উন্নয়নের কাজ করা সম্ভব হয়না। দুটি ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। সর্বত্র ফিল গুড অনুভুতি পাওয়া যাচ্ছে। তাতে ভাল কাজেরও অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন একটি ট্যুরিজম এন্ড কালচার্যাল প্রমোশন হাব গড়ে তোলার খুবই প্রয়োজন ছিল। রাজ্য সরকার সেই দিশাতেই কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন জাতি জনজাতি অংশের মানুষ মিলে আমাদের রাজ্য সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যে সংস্কৃতি ও পর্যটনের বিকাশেই এই উদ্যোগ। এই হাবে থাকবে ওপেন থিয়েটার, অডিটোরিয়াম, প্রদর্শনী গ্যালারি, ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সংস্কৃতি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বদের স্ট্যাচু। তিনি আশা প্রকাশ করেন এই কেন্দ্রটি পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে সংস্কৃতি ও পর্যটনের বিকাশে আজকের দিনটি একটি মাইলস্টোন হয়ে থাকবে। রাজ্যের মিশ্র সংস্কৃতি সারা দেশেই খ্যাতি অর্জন করেছে। পরিকাঠামোর বিকাশের ফলে রাজ্যে পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়ছে। তিনি বলেন, ১.৬১ একর জায়গায় ৩৪ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই হাব গড়ে তোলা হবে। অধিকর্তা আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি দৈনন্দিন কাজে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মীদের আরও অনুপ্রেরণা দেবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, হাউজিং ও কনস্ট্রাকশান বোর্ডের সিইও শ্যামল চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে ট্যুরিজম এন্ড কালচার্যাল প্রমোশন হাব বিষয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও দেখানো হয়। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীগণ।
Internation Women’s Day : পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক আলোচনাসভায় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন