Vijay Diwas : যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজ্যে‌ও পালিত বিজয় দিবস, অ্যালবার্ট এক্কা পার্কের ওয়ার মেমোরিয়ালে হলো শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

IMG_20210801_114612

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

demo-image

Vijay Diwas : যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজ্যে‌ও পালিত বিজয় দিবস, অ্যালবার্ট এক্কা পার্কের ওয়ার মেমোরিয়ালে হলো শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

Share This


 আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর : বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু সোমবার সকালে অ্যালবার্ট এক্কা পার্কের ওয়ার মেমোরিয়ালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ করে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেসকল বীর সৈনিক তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই যুদ্ধ জয় আমাদের দেশের এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। ভারতীয় সেনা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইয়ে আজকের দিনেই জয়লাভ করে। অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা সহ অন্যান্য অতিথিগণ।


 দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশ‌ স্বাধীন হয়। মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে বাংলাদেশের জনগণ নতুন করে অঙ্গীকার করবে।


বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের সরকারি এক ফেসবুক বার্তায় জানানো হয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতে, ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের প্রাক্তন সৈনিক ও আধিকারিককে নিজ নিজ দেশে বিজয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ৫৩তম বার্ষিকীতে, আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর দুইজন কর্মরত কর্মকর্তা কলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে ভারতে  এসেছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে আটজন ভারতীয় প্রাক্তন সেনানী এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর দুইজন কর্মরত কর্মকর্তা ঢাকায় গেছেন বলে হাইকমিশন সূত্রে জানিয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের এবং ভারতীয় যুদ্ধের প্রবীণ সৈনিকদের জন্য এই দ্বিপাক্ষিক সফর দুই দেশের অনন্য বন্ধুত্বর উদযাপন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রোমন্থনের মঞ্চ প্রদান করে। 


হাইকমিশনের বার্তায় জানানো হয়েছে পাক বাহিনীর  দখলদারিত্ব, নিপীড়ন ও গণ-অত্যাচার থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ আত্মত্যাগের প্রতীক এই অনুষ্ঠান। ১৯৭১ সালের এই দিনে জেনারেল এ এ কে নিয়াজীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী তার ৯০ হাজার সৈন্য নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।


প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের জন্য বাহিনীর সদস্যদের অভিবাদন জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় শ্রী সিং বলেছেন দেশ তাদের ত্যাগ এবং জাতির প্রতি সেবাকে কখনই ভুলবে না। বাহিনীর সদস্যদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম দেশকে সুরক্ষিত রাখে।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

Pages