আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর : নাটক সমাজের দর্পণ। নাটকের মধ্য দিয়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। আজ সন্ধ্যায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং হলে রাজ্যভিত্তিক নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় একথা বলেন। অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় আরও বলেন, নাটকের পান্ডুলিপি সময়োপযোগী হতে হবে। নতুন প্রজন্ম চায় তার বিভিন্ন সমস্যার কথা নাটকের মাধ্যমে বলা হচ্ছে কিনা।
ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, বাল্যবিবাহ, নেশাসক্ত হয়ে পড়া, ছেলেমেয়ে থাকার পরেও বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে বাধ্য হওয়া প্রভৃতি সামাজিক সমস্যাগুলি নাটকের পান্ডুলিপিতে এলে এ বিষয়ে মানুষ আরও সচেতন হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার পরেও সামাজিক আন্দোলন না হলে এই সামাজিক সমস্যাগুলি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। মঞ্চে নাটক করার পাশাপাশি পথনাটকের বিষয়েও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষ কি চায় তা ভাবতে হবে এবং সেভাবেই নাটক মঞ্চস্থ করতে হবে। তবেই দর্শকের হৃদয় জয় করা সম্ভব হবে। তিনি এই নাট্য উৎসবের সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, রাজন্য আমল থেকেই ত্রিপুরায় নাট্যচর্চা শুরু হয়েছিল। নাটক সমাজের কথা বলে, বর্তমান সময়ের কথা তুলে ধরে। সমাজকে সঠিক পথ দেখানোর দায়িত্ব নাট্যদলের এবং দলের নাট্যকর্মীদের। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, নাটকের মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধেরও শিক্ষা দিতে হবে। অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি বরিষ্ঠ নাট্য ব্যক্তিত্ব মানিক দত্ত বলেন, শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানী করে। সংস্কৃতি চর্চা গুণী মানুষ তৈরি করে। প্রকৃত মানুষ হতে গেলে তাকে সংস্কৃতিমনস্ক হতে হবে। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার আঞ্চলিক অধিকর্তা বিপ্লব বরকাকতি সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এই নাট্য উৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য বলেন, ১৫দিনব্যাপী এই নাট্য উৎসবে ৩৪টি নাট্যদল অংশ নিয়েছে। ১৫দিনব্যাপী নাট্য উৎসব সমাপ্ত হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। গত বছর নাট্য উৎসবে ২১টি দল অংশ নিয়েছিল। রবীন্দ্র ভবনের ২ নং হলে সোমবার থেকে শুক্রবার ২টি করে নাটক মঞ্চস্থ করা হবে। শনিবার ও রবিবার ৩টি করে নাটক মঞ্চস্থ হবে। তিনি জানান, এবারের নাট্য উৎসবের ৪০০-এর বেশি নাট্যকর্মী নাটক মঞ্চস্থ করবেন। রাজ্যের শিল্পীদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতেই রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর কাজ করছে। এবারের নাট্য উৎসবে সামিল হতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করে আশা সংগীত কলাকেন্দ্রের শিল্পীগণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন