আগরতলা, ১৬ নভেম্বর : তীব্র গতিতে বাইক চালিয়ে উড়ালপুলের নিচে পরলো তিন যুবক । মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। অপর দু'জন গুরুতর আহত । ঘটনা মঙ্গলবার রাতে আগরতলার ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী এলাকায়। মৃত যুবকের নাম কার্জন দেববর্মা। এই ঘটনায় আহত দুইজনের নাম দেবাশীষ দেববর্মা এবং সম্রাট দাস বলে জানা গেছে। তাদের জিবি হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা চলছে।
জানা গেছে, একটি বাইকে মদমত্ত অবস্থায় সওয়ারি হয়ে বাইক চালক তার দুই বন্ধুকে নিয়ে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিল উড়াল পুলের উপর। অরুন্ধতী নগর এলাকা থেকে বাইক চালক এবং বাইকের ২ আরোহী উড়ালপুল ধরে আগরতলায় ফেরার পথে ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী এলাকায় বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, তীব্র গতি নিয়ে এসে ধাক্কা মারে উড়ালপুলের পিলারে। মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণে বাইক চালক গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় দুর্ঘটনার পরবর্তী সময়ে বাইক থেকে ছিটকে, বিকট শব্দে নিচের রাস্তায় মাটিতে এসে পড়ে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে দুর্ঘটনার পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে একজনের।
প্রাথমিক অবস্থায় পথ চলতি মানুষের নজরে ঘটনাটি পড়ায়, সঙ্গে সঙ্গেই পার্শবর্তী দমকল দপ্তরে বিষয়টি জানানো হয়। তৎক্ষণাৎ দমকল দফতরের কর্মীরা, আহতদের আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অপর দুজনের জখম গুরুতর। দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় জিবি হাসপাতালে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা চলছে তাদের। তবে তারা জবানবন্দি দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশের দাবি মারাত্মক রকমভাবে নেশাগ্রস্ত ছিল বাইক চালক এবং বাইক আরোহী তিনজনেই। যার কারণে এই দুর্ঘটনা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নাম কাজান দেববর্মা। তার পিতার নাম রাজেশ দেববর্মা। বাড়ি কৃষ্ণনগর ঠাকুর পল্লী টিআরটিসি সংলগ্ন এলাকায়। আহত দুই যুবকের নাম সম্রাট দাস এবং দেবাশীষ দেববর্মা। সম্রাট দাস এর বাড়ি রামনগর ৮ নম্বর রোড এলাকায়, এবং দেবাশীষ দেববর্মার বাড়ি কৃষ্ণনগর ঠাকুর পল্লী টিআরটিসি সংলগ্ন এলাকায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন